বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজারো মানুষ কুয়েতের কাজের ভিসা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের এই ধনী দেশে যাচ্ছেন। তবে যাওয়ার আগে অবশ্যই জানতে হবে – কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং সেই কাজের বেতন কত। সঠিক তথ্য জানা থাকলে ভিসা ও পেশা বেছে নিতে সুবিধা হয়।
কুয়েত মূলত তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ একটি দেশ। অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল হওয়ার কারণে এখানে বিদেশি কর্মীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক।
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি?
কুয়েতে বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা কাজ করছে এবং প্রতিনিয়ত নতুন শ্রমিক নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যেসব কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি তা হলো:
- কনস্ট্রাকশন শ্রমিক
- ড্রাইভিং
- ইলেকট্রিশিয়ান
- ক্লিনার
- ওয়েল্ডিং শ্রমিক
- পেইন্টার
- ফ্যাক্টরি শ্রমিক
- প্লাম্বার
- হোটেল ও রেস্টুরেন্ট কর্মী
- গাড়ি মেকানিক
অর্থাৎ দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই কাজগুলো করলে দ্রুত চাকরির সুযোগ পাওয়া যায়।
কুয়েতে কাজের বেতন কত?
কুয়েতে বেতন নির্ভর করে কাজের ধরন, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর। গড়ে প্রবাসীদের মাসিক বেতন ৩০,০০০ টাকা থেকে ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়। তবে বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন কাজ যেমন ড্রাইভিং, টেকনিক্যাল কাজ বা মেকানিকের চাকরিতে মাসে ২ লাখ টাকারও বেশি আয় সম্ভব।
কুয়েত সর্বনিম্ন বেতন কত?
কুয়েত সরকার প্রবাসীদের জন্য ন্যূনতম বেতন কাঠামো নির্ধারণ করেছে।
- সর্বনিম্ন বেতন: ৭৫ কুয়েতি দিনার
- কর্মঘন্টা: দৈনিক ৮ ঘন্টা, সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা
- ওভারটাইম: অতিরিক্ত কাজের জন্য বেতন ২৫% থেকে ১০০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়
অর্থাৎ বৈধ ভিসায় গেলে নির্ধারিত সর্বনিম্ন বেতনের নিশ্চয়তা থাকে।
কুয়েত কোন কাজের বেতন বেশি?
যেসব প্রবাসী দক্ষ এবং অভিজ্ঞ তারা কুয়েতে তুলনামূলক বেশি বেতন পান। বর্তমানে যেসব কাজের বেতন সর্বাধিক, সেগুলো হলো:
- কনস্ট্রাকশন শ্রমিক
- ড্রাইভিং
- গাড়ি মেকানিক
- এয়ার কন্ডিশন টেকনিশিয়ান
এই সেক্টরগুলোতে কাজ করে প্রবাসীরা প্রতি মাসে বাংলাদেশি টাকায় কয়েক লাখ পর্যন্ত উপার্জন করছেন।
শেষ কথা
বিদেশে যাওয়ার আগে শুধু ভিসা নয়, কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং বেতন কত—এগুলো জেনে গেলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে কুয়েতের শ্রমবাজারে ভালো বেতন পাওয়া সম্ভব।
[ILO Homepage | International Labour Organization]