দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ধনী ইসলামিক দেশ ব্রুনাই তেল ও প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভরশীল। উন্নত জীবনমান, নিরাপদ পরিবেশ এবং উচ্চ আয়ের কারণে প্রবাসীদের কাছে দেশটি বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। তাই বাংলাদেশ থেকে অনেকে জানতে চান – ব্রুনাই ভিসার দাম কত এবং ভিসা প্রসেসিং কীভাবে হয়।
ব্রুনাইয়ে যেতে হলে প্রথমেই সঠিক ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে। কারণ শিক্ষার্থী, কর্মী ও পর্যটকদের জন্য ভিসার খরচ ও নিয়ম আলাদা। এছাড়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি বা নিজে আবেদন করলে খরচে পার্থক্য হয়।
ব্রুনাই ভিসার দাম কত?
বাংলাদেশ থেকে ব্রুনাই ভ্রমণ বা কাজের উদ্দেশ্যে গেলে ভিসার খরচ ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত ভিসার খরচ নির্ধারণ হয় ভিসার ধরন, মেয়াদ এবং প্রসেসিং পদ্ধতির উপর।
- স্টুডেন্ট ভিসা: আনুমানিক ২ লাখ থেকে ৩.৫ লাখ টাকা।
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা (কাজের ভিসা): প্রায় ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা।
- টুরিস্ট ভিসা: তুলনামূলক কম খরচে পাওয়া যায়, প্রায় ১ লাখ থেকে ১.৫ লাখ টাকা।
মনে রাখবেন, এই খরচে ভিসা প্রসেসিং ফি, এজেন্সি চার্জ এবং কিছু ক্ষেত্রে মেডিকেল বা ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে।
ব্রুনাই ভিসা প্রসেসিং করার নিয়ম
বাংলাদেশ থেকে ব্রুনাই যাওয়ার জন্য দুটি উপায় আছে – সরকারি এবং বেসরকারি।
১. সরকারি মাধ্যমে
- প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিএমইটি ও বোয়েসেল-এর মাধ্যমে শুধুমাত্র কাজের ভিসা প্রসেস করা যায়।
- নির্দিষ্ট সময়ে ভিসা সার্কুলার প্রকাশ করা হয়।
- প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করতে হয়।
- লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা হয়।
Brunei Immigration Official: Jabatan Imigresen Dan Pendaftaran Kebangsaan
২. সরাসরি বা এজেন্সির মাধ্যমে
- ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে সরাসরি ব্রুনাই দূতাবাসে আবেদন করা যায়।
- বৈধ কাজের অফার লেটার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার থাকা আবশ্যক।
- চাইলে কোনো স্বীকৃত এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেস করা যায়।
- তবে সতর্ক থাকতে হবে—অগ্রিম অর্থ প্রদান করবেন না এবং কেবল বিশ্বস্ত এজেন্সি বেছে নেবেন।
ব্রুনাই ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী কিছু কাগজপত্র ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণভাবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো হলো:
- বৈধ পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
- কাজের দক্ষতা বা ট্রেনিং সার্টিফিকেট
- পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মেডিকেল রিপোর্ট
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- বৈধ জব অফার লেটার (কাজের ভিসার জন্য)
- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চিঠি (স্টুডেন্ট ভিসার জন্য)
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ট্রাভেল রেকর্ড
- সুপারিশপত্র (রিকমেন্ডেশন লেটার)
ব্রুনাই যেতে কত বছর বয়স লাগে?
ভিসা আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর ২১ থেকে ৪৫ বছর বয়স হতে হবে।
যোগ্য বয়সসীমা পূরণ না করলে ব্রুনাই ভিসা অনুমোদিত হবে না।
Pingback: ব্রুনাই বেতন কত এবং কোন কাজের চাহিদা বেশি [২০২৫ আপডেট] - Today BD Price